Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

 মৎস্য আইন মেনে চলুন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করুন। আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ থেকে বিরত থাকুন। চায়না দুয়ারী/ম্যাজিক জাল ও কারেন্ট জাল কে না বলুন।


আমাদের অর্জনসমূহ

ভারতের প্রথম মহকুমা যশোর স্থাপিত হয় ১৭৮৬ খ্রীঃ। যশোর সদর উপজেলার সৃষ্টি হয় ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ খ্রীঃ। উপজেলা প্রশাসন সৃষ্টির পূর্ব থেকেই উপজেলা মৎস্য দপ্তর সদর উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করে। যশোর সদর উপজেলাটি জেলার সবচেয়ে উচুঁ স্থানে অবস্থিত বলে বন্যা বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয় না বললেই চলে। বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তর প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতীয় জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ এবং মোট কৃষিজ আয়ের ২৫.৩০ শতাংশ মৎস্য উপখাত থেকে আসে। বিগত দশকে মৎস্য খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ। দেশের রপ্তানি আয়েও মৎস্য খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রানিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ। অভ্যন্তরীন জলাশয় থেকে মৎস্য আহরন ও উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে যথাক্রমে ৩য় ও ৫ম স্থান অধিকার করেছে।

উন্নত পদ্ধতিতে মাছ ও চিংড়িচাষ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান, মৎস্যচাষ বিষয়ক পুস্তক, পুস্তিকা ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ এবং বার্ষিক প্রতিবেদন প্রনয়ণ করা হয়। মৎস্য হ্যাচারির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান ও মৎস্য খাদ্য বিক্রেতার লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান করা হয়। ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই উপজেলায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। বর্তমানে এই উপজেলায় ১জন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ১জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ১জন অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন। জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প (ফেজ-২) এর আওতায় উপজেলা মৎস্য দপ্তরে ১জন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও ১জন ক্ষেত্র সহকারী এবং ১৫টি ইউনিয়নে ১৫ জন লিফ মাঠ পর্যায়ে  মাছ চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৫টি ইউনিয়নে ১৫টি প্রর্দশনী পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন কার্যক্রম চলমান। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী ও অন্যান্য সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান, মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন, প্রর্দশনী খামার ও বিল নাসার্রী স্থাপন, উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবীদের মৎস্য খামার পরিদর্শণ, মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনে পরিদর্শণ ও পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য। দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৩টি অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। এই উপজেলায় ১টি সরকারি হ্যাচারি ও ২৮টি বেসরকারি হ্যাচারি রয়েছে। এসব হ্যাচারি থেকে রুই জাতীয় মাছ, থাই পাঙ্গাস, থাই কই, তেলাপিয়া, শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়। দেশের মোট চাহিদার ৭০ ভাগ পোনার যোগান দেয় এই উপজেলার হ্যাচারিগুলো। যশোর সদর উপজেলার এক নজরে মৎস্য সম্পদের তথ্য বিবরণী নিম্নে দেওয়া হলো-